বাসার কক্ষে পড়ে ছিল এনজিও কর্মীর লাশ, দরজা ভেঙে উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে স্যামুয়েল হাসদা (৩০) নামে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শহরের পোড়রা এলাকার প্রফেসরস হাউস নামের বাসা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্যামুয়েল হাসদা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই গ্রামের সরকার হাসদার ছেলে। তিনি বারসিক নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সহযোগী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্যামুয়েল হাসদার সহকর্মী কমল দত্ত জানান, বারসিকে প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী স্যামুয়েল। চলতি মাসের ১ তারিখে পূজার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে ছুটি শেষে মানিকগঞ্জে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তার কর্মস্থলে যোগদান করার কথা ছিল। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও অফিসের সহকর্মীরা তাকে ফোনে না পেয়ে বাসা পর্যন্ত আসেন। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানানো হয়।
পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে বিছানার ওপর তার মরদেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের প্রাথমিক ধারণা, স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান তিনি।