বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, রেড অ্যালার্ট জারি পাউবোর

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নীলফামারী ও লালমনিরহাট দুই জেলায় নদী তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সোমবার (০৬ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত নীলফামারীর তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৬ মিটার, যা এখনো বিপৎসীমার ওপরে।
পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী ও ডিমলা সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলের মাঠে পানি উঠেছে। অনেক পরিবার তাদের গবাদিপশু ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
আগামী দুই দিন তিস্তা ও আশপাশের নদনদীর পানি আরও বাড়তে পারে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করে নদী তীরবর্তী মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নৌকা ও ত্রাণসহায়তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতের উজানে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেবার কারণে তিস্তা নদীর পানি মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে রংপুরের কাউনিয়া গঙ্গাচড়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি ঘর আর ফসলী ক্ষেত। ফলে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, কচুয়া, চড় ইছলি, জয়রাম ওঝা কোলকোন্দ ইউনিয়নের কোলকোন্দ , লক্ষ্মীটারীসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।