ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা আটক ৯


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৮

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের আটক করা হয়।

বিশেষ পুলিশ সুপার এনামুল কবীর জানান, সাতজন ভিকটিমের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-১০ নম্বর রোডের ১০ নম্বার বাড়ির ৬ষ্ট তলায় সেবা ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় মালিবাগ সিআইডি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, সেবা ট্রাভেলস এর নামে বিদেশে পাঠানো নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্র। এই সেবা ট্রাভেলস এর কোনো লাইসেন্স নেই এরা কিছুদিন পর পর অফিস চেঞ্জ করে। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লালমনিহাটের রবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম সজিব (৩৮) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল (৫০) এমডি, কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান (৪০) পাটনা, লালমনিরহাটের ফজলে রহমানের ছেলে আসাদুল হক (৩৮) পার্টনার, কুড়িগ্রাম উল্লাপুরের মোজাহার আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন রাজিব (৩৮) পার্টনার, কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর হাবিবুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু আজিজ (২৯) পার্টনার, কুড়িগ্রাম উল্লাপুরের নাজমুল হোসাইনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২) কম্পিউটার অপারেটর, লালমনিরহাট মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের সরকার নুরুন্নবী রতন (৪০) হিসাব রক্ষক, লালমনিরহাটের রবিউল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম আজাদ হাসান বুলেট (৪৩)।

গ্রেফতার ৯ জন সবাই ৮ম -৯ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে এবং এরাই ট্রাভেলস এর দায়িত্বে বহাল আছে। কে ট্রাভেলস এর এমডি, চেয়ারম্যান, হিসাব রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এনামুল কবীর জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, এই চক্রটি তিন মাস ধরে এই ব্যবসা করে আসছে তারা ১৮ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তারা বিদেশে পাঠানোর নাম করে এই ভিকটিম ৭ জনের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছে এবং সাধারণত প্রতিটি যাত্রী থেকে চার লক্ষ ২০ হাজার বা সাড়ে চার লক্ষ করে টাকা নিয়ে থাকে।

তিনি জানান, আমরা জানতে পারি এই চক্রটি আগে অফিস ছিল নিকুঞ্জ-১ এবং এখন নিকুঞ্জ-২ অফিস নিয়েছে‌। এভাবে কিছুদিন পর পর তারা অফিস চেঞ্জ করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৯টি পাসপোর্টে জাল ভিসাসহ ২৪ টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন দেশের ১০ টি জাল ডিমান্ড লেটার, দুটি সিল, বিভিন্ন নামের ৫টি জাল emigration clearance card, একটি কালো দাগ এই ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, যাত্রীদের নামের তালিকা এবং জমাকৃত টাকা রেজিস্টার খাতা, একটি স‍্যামসাং মনিটর ও cpu সহ ছয়টি স্মার্ট ফোন এবং ৭টি নরমাল ফোন।

এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ পরিদর্শক গৌতম কুমার শীল বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নম্বর ৪। বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩ এর ১১(৩) ধারায় মামলা রজু হয়। এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র এসবি শামীমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম, পরিদর্শক সাদিক মুজিবুর রহমান, এসআই মাসুদুর রহমান, এসআই গৌতম কুমার শীল।

আইএমটি