নিউইয়র্কে নেতাদের হেনস্তার ঘটনাকে সন্ত্রাসী তৎপরতার শামিল বলছেন রাজনীতিকরা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে সমালোচনা, নিন্দা আর ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে দেশের রাজনীতিতে। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের হেনস্তার ঘটনায় সবাই জানাচ্ছেন জোরালো প্রতিক্রিয়া।
বিদেশের মাটিতে ডিম নিক্ষেপ ও অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ দেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেন রাজনীতিকরা। বিশ্লেষকদের মতে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় আওয়ামী লীগ এমন প্রতিবাদের পদ্ধতি বেছে নিয়েছে, যা সঠিক নয়।
বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা সমর্থকরা যে হামলা চালিয়েছে, তারা যে অশ্লীল-অরুচিকর চিৎকার করেছে এবং নানাভাবে অপদস্ত করার চেষ্টা করেছে, এটা এক ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার শামিল। এ ধরনের তৎপরতা করে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরবে এ রকম চিন্তা না করা ভালো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বললেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দলটি আইনগত কারণে সেভাবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ বাংলাদেশে করতে পারে না। সেক্ষেত্রে তারা হয়তো এই সুযোগটি নিয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক হয়নি। রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদেরকে অপমানিত করার ঘটনা তো নেগেটিভলি দেখে মানুষ।
জুলাই অভ্যুত্থানের বছর পেরুলেও অপরাধের দায় স্বীকার বা আত্ম-সমালোচনা করেনি আওয়ামী লীগ, বলছেন রাজনৈতিক নেতারা। আর দলটির বিষয়ে আন্দোলনের শক্তিগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে তারা (গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি) যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, কার্যক্রমে সেভাবে আমি দেখতে পাচ্ছি না। তো এর একটা প্রভাবে যেটা মনে করেছিলাম ঐক্য তৈরি হবে, কিন্তু তা হবে বলে এখন মনে করছি না। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বোধ তৈরি হতে পারে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে বোধ তৈরি হয় না।
সাইফুল হক বলেন, গণজাগরণ-গণঅভ্যুত্থানের সময় তাদের যে অপরাধ-হত্যাকাণ্ড অনেকগুলো নারকীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এ নিয়ে ১৪ মাস পর এখনও তাদের কোনও আত্মসমালোচনা নেই। আত্মোপলব্ধি নেই। দায় স্বীকারের কোনও বিষয় নেই। ক্ষমা প্রার্থনা নেই।
নিউইয়র্কের ঘটনাকে খুব নিম্নপর্যায়ের রাজনৈতিক রুচি ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।