ঢাকা বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯শে ভাদ্র ১৪৩২


রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোট না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে: বিশ্লেষক মত


২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩১

সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন চায় অন্তবর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে ইসি। কিন্তু এরপর থেকে হঠাৎ করে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরস্থিতি। দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিসংতা, বেড়েছে মব সন্ত্রাস-ও।

 

সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। কিন্তু সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকায় সামনে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

 

গবেষক ও বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেছেন, বাংলাদেশ যদি এখন দ্রুত নির্বাচন করতে না পারে এবং কোনও কারণে যদি এই নির্বাচনের রোডম্যাপ একবার বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে একটা খারাপ অবস্থা তৈরি হতে পারে এবং ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম সেটা আমরা দেখছি; সমাজের ওপরও কম, প্রশাসনের ওপরও কম। নির্বাচনকালে তো সহিংসতা বাড়ে। বিভিন্ন দলের ভেতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তো এখনও শুরুই হয়নি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আসিফ শাহান বলেন, বারবার বলছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। যদি দেখেন যে সরকারের সঙ্গে দলাদলি হচ্ছে, যারা চাচ্ছে না তাদেরকে দুর্বল করতে হবে এবং তাদেরকে সরাতে হবে। যারা ব্যর্থ তাদেরকে সরাতে হবে। এটা করা হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিষ্কার একটি সতর্কবার্তা দেয়া হলো। ভোট নিয়ে সরকার সিরিয়াস এই কথা বারবার শোনা গেলেও ইমপ্যাক্টফুল সিদ্ধান্ত নিতে কি দেখা গেছে?

 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, পিআর পদ্ধতিসহ বিরোধপূর্ণ বিষয়ে ন্যূনতম ঐক্যমতের পক্ষে বিশ্লেষকরা। না হলে নির্বাচন ও পরবর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক আসিফ শাহান।

 

তিনি বলেছেন, নির্বাচন হলে ১০-২০-৩০-৪০টা সিট পাচ্ছে। আর নির্বাচনই না হলে গত ১৫ বছরের যে সময়কাল সেই রকম একটা সময়কালে ফেরত যাওয়া হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে কথা বলতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর একটু বোঝা উচিত কোনটাতে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

 

গবেষক আলতাফ পারভেজের মতে, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের মূল মনোযোগ দেয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এখানে যদি পুরো সরকারেও না হয় নতুন আরও শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।

 

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে তৃতীয় শক্তির উত্থান হতে পারে।