সন্ধ্যায় জাতীয় নির্বাচনের তফসিল

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সিইসির এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। বুধবার নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানান, তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। কমিশনের আশা সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সব দলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব আরো বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আইন অনুসারে যেকোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল—এসবের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে নির্বাচনী প্রাচারও শুরু করা যাবে না। তিন সপ্তাহ সময়ের মধ্যেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্বাচনী জনসভা বা সমাবেশও করা যাবে না।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আজ সকাল ১০টায় কমিশন সভায় নির্ধারণ হবে কবে ভোটগ্রহণ। এরপর বেলা ১১টায় সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে। ভাষণটি হবে ১০ মিনিটের। ভাষণে তিনি তফসিল ঘোষণার পর সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাবেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন আগ্রহীরা। আজই মাঠপর্যায়ে মনোনয়ন ফরম পাঠাচ্ছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে দুটি তারিখ নির্বাচন করা হয়েছে। একটি হলো ২০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার। অন্যটি ২৩ ডিসেম্বর, রবিবার। আজ কমিশন সভায় এর মধ্য থেকে একটি তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সাধারণত তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত ৪০-৪৫ দিন সময় রাখা হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ হলে তফসিল ঘোষণার পর সময় থাকে ৪৩ দিন। দশম সংসদ নির্বাচনে ৪২ দিন সময় রেখে ভোটের তফসিল হয়েছিল।
আরকেএইচ