ঢাকা রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


জলদস্যুরা সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ


১৩ মার্চ ২০২৪ ১২:৩০

সংগৃহীত

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়া নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে তারা। এরপর থেকেই জাহাজে অবস্থানরত নাবিকদের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এমনকি নাবিকদের সবার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। এরমধ্যে একজন লুকিয়ে রাখা মোবাইলে বলেন, ‘আমাদের জাহাজ সোমালিয়ার দিকে যাচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ৬০০ নটিক্যাল মাইল যেতে তিনদিন লাগবে। সেখানে জলদস্যুদের প্রধানরা আসবে।’

জাহাজটিতে থাকা এক ইলেকট্রেশিয়ান জানান, তাদের একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে জলদস্যুদের একটি বোট তোলা হয়েছে জাহাজে। অপর বোটে জলদস্যুদের একটি দল চলে গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। জাহাজে নাবিক ও ক্রুসহ ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।

এর আগে জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল এমন একটি সূত্র জানিয়েছিল, জাহাজে আনুমানিক ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু অবস্থান করছে।

এর আগে বিকেলে এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম জানান, বিকেল ৫টা নাগাদ জাহাজটি উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। জাহাজে সবাই নিরাপদ আছে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে সব ক্রুকে উদ্ধারে কাজ করছি।’

বৈশ্বিক জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী সাইট মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি একটি বাল্ক কেরিয়ার। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রসস্থতা ৩২ দশমিক ২৬ মিটার।

জাহাজটি ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর ছেড়ে আসে। ১৯ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

নতুনসময়/এএম


জাহাজ, এমভি আবদুল্লাহ, সোমালিয়া, জলদস্যু, বাংলাদেশ, নাবিক