নির্বাচনের পর মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে: বেনজীর

র্যাপিড অ্যাককশান ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান কিছুটা অব্যাহত থাকলেও নির্বাচনের পরে মাদকের বিরোধী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে।’
শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁও ফ্লিম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসিতে) মাদকের অপব্যবহার রোধ সম্পর্কিত "জাতীয় বিতর্ক" ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ’আগে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে আসতো । সেই মাদকের আকড়া আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি , এবং আমরা ভারত সরকারের সাথে কথা বলে এটাকে প্রতিহিত করেছি। কাজই ভারত থেকে আর বাংলাদেশে মাদক আসে না।
তিনি বলেন, ’আমাদের কাছে তথ্য আছে মাদকের বড় বড় মাদকের চালান আসে মিয়ানমারে থেকে। তাছাড়া যারা মাদক ব্যবসা করতে নারজ তাদেরকে ঐই দেশ থেকে বিভিন্ন অত্যাচার করে বিতাড়িত করা হয়েছে।
র্যা ব ডিজি বলেন, ’মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমার আশ্চর্য হয়ে গেছি যে, এর সাথে কত লোক সম্পৃক্ত রয়েছে। মাদকের সাথে স্কুল শিক্ষকেরা জড়িত, মাদ্রাসার শিক্ষক জড়িত, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা আর প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের অনেক লোক জড়িত আছে। এর শিকড় অনেক অনেক গভিরে যেটা কল্পনা করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশী অভিযান চলাকালে মাদক বহনের জন্য নতুন কৌশল ধারন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। যেমন ট্রাকের তেলের ট্যাংকে ভিতরে, গ্যাসের সিলেন্ডরের মধ্যে বিভিন্ন কৈাশল অবলোপন করে তারা মাদক ব্যাবসা করছে।
মাদকের দ্রবের গডফাদার অনেক গভিরে থাকে ইচ্ছা করলে তাদের ধরা যায় না। এমনটায় মন্তব্য করে বেনজীর আহমেদ বলেন, ’সরকার ও জনগণের সদ্দেচ্ছা ছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ কখনো সম্ভাব না। মাদক নিয়ন্ত্রের জন্য দেশের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
ডিজি বলেন, ভারতের যুব সমাজ ও মিয়ানমারের যুব সমাজ এই মাদক থেকে বিরত থাকে । কিন্তু আমার দেশের যুব সমাজ কেন এই মাদক সেবন করে সেটা আমার বোধগাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হিসেবে দেশে বর্তমানে ৭০ লাখের মতোন মাদকাসক্ত আছে। বাংলাদেশে ইয়াবা ও হিরোইনের গ্রাহক বেশি। মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে দণ্ড প্রদান, গ্রেপ্তারই একমাত্র সমাধান নয়। সবাই আগে মাদকের সহজ লভ্যতার পথ বন্ধের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ করে টেকনাফে যে সমস্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেন তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে ব্যাব ডিজি বলেন, ’আপনারা আরেকটু সচেতন হন। যারা এই মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বা ব্যবসায়ের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দুদকের মাধ্যমে বা বিভিন্ন উপায়ে আইনের অধিনে নিয়ে আসেন । এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্তা গ্রহণ করুন। তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও মাদকের হাত থেকে দেশের যুব সমাজ রক্ষা পাবে।
এসময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রের জন্য দেশের সবস্তর্রের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ব্যাবের এই মুখপাত্র।
মাদকের অপব্যবহার রোধ সম্পর্কিত "জাতীয় বিতর্ক" ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র ছায়া সংসদে অংশগ্রহণ করেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি এবং আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।