ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে এডিবি ভূমিকা পালন করবে : অর্থমন্ত্রী


১৪ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৬

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এখন লক্ষ্য রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোতে এডিবি আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া ১২-১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করছেন।

বৈঠকে মন্ত্রী বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপনের এ দিনটিকে একটি মহান দিন হিসেবে অভিহিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে শুরু হওয়া ১৯৭৩ সাল থেকে আমাদের নেতৃস্থানীয় উন্নয়ন অংশীদারদের অন্যতম হিসেবে এডিবি’র ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ প্রতিশ্রুতির বিপরীতে আজ অবধি বাংলাদেশ ২১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে এবং এরই মধ্যে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিশোধ করেছি। এখন এডিবির সঙ্গে আমাদের বকেয়া ঋণ ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা সরকারের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ এডিবির অর্থায়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাপক হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অবহিতকল্পে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘গ্লোবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে প্রায় ৩৮ বছর সময় লেগেছিল। আর এখন আমাদের জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে, বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। এ হিসেবে আমরা আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে ‘শীর্ষ ২০ অর্থনীতির’ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এখন লক্ষ্য রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোতে এডিবি আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রসংশা করেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সব সময় এডিবি থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, এবং এডিবি’র পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা, বিকল্প নির্বাহী পরিচালক আজিজুল আলম ও এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

আইকে