লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন শেখ হাসিনা: ডেপুটি স্পীকার

ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, দেশে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে অধিক হারে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়া বৈষম্য দূরীকরণের অনন্য দৃষ্টান্ত। সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ ৭৩ জন নারী সদস্য আইন প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন। আইন বিভাগ ছাড়াও নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সকল ক্ষেত্রে নারীদের পুরুষের সাথে রেখে অথবা নারী-নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা।
রুয়ান্ডার কিগালিতে ১৪৫তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে “দৃঢ় ও শান্তিময় পৃথিবী গঠনের চালিকাশক্তি জেন্ডার-ভারসাম্যপূর্ণ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল-সংসদ” শীর্ষক সাধারণ আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকারের নেতৃত্বে সাধারণ এ আলোচনায় সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, সাহাদারা মান্নান ও শামসুন নাহার অংশগ্রহণ করেন করেন।
নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরতে গিয়ে মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে, জাতীয় জীবনে নারীদের জন্য সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকারের বিধান করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে জাতীয় সংসদে যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিবাহ রোধ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিএনএ আইন এর মত নারী-বান্ধব আইন পাশ করা হয়েছে।
আইনের পাশাপাশি নারী উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১১ গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়নে ২০টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাল্য-বিবাহ রোধ, মাতৃ-স্বাস্থ্য ও যুব উন্নয়নের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উচ্চ স্তরের একটি কমিটি গঠন করেন।
দেশের উন্নতির গতিধারা তুলে ধরে ডেপুটি স্পীকার বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে এরপর তিনি দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। বর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনা বিজ্ঞ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেন। আর এ সকল অর্জনে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারীদের এগিয়ে দেওয়ার প্রধান ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনা সাউথ-সাউথ, ট্রি অফ পিস, প্লানেট ৫০-৫০ এর মত বৈশ্বিক মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার লাভ করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।