ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


গ্রামীণফোন কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ২


৮ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৯

ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের কর্মকর্তা ও কিছু অসাধু গ্রামীণফোন কর্মকর্তা অধিক মুনাফার লোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ ভাবে রেজিস্ট্রেশন করে বিক্রয় করে। এ ধরনের অবৈধ সিম সাধারণতো চাঁদাবাজি ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা। অপরাধের ধরন অনুযায়ী সিম গুলো ৫০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

রোববার (৭ অক্টোবার) দুপুর ১২টায় কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাব-৪ এর সিইও চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির এসব তথ্য জানান।

র‍্যাব জানায়, তাওফিক হোসেন খান (পলাশ) এর মালিকানাধীন মোনাডিক বাংলাদেশ নামক একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের মাধ্যমে ইস‍্যুকৃত সিমগুলো ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গ্রামীণফোনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (বিজনেস সেলস) সৈয়দ তানভীরুর রহমান কর্তৃক একটিভ করা হয়।

চৌধুরী মঞ্জুরুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বিভিন্ন কোম্পানির অনুমতি ব্যতীত তারা অতিরিক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন করে রাখে। কোম্পানিগুলো যদি ৫ টা সিম সংগ্রহ করে, তারা অতিরিক্ত ১০ টা সিম ঐ কোম্পানির নামে উঠায়। বেশি লাভের আশায় তারা এই অসাধু উপায়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করে বিক্রি করে। যার অধিকাংশ গ্রাহকই অপকর্মের সাথে জড়িত।

গতকাল শনিবার (৬ অক্টোবর) সাড়ে ৭টায় মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মেজর মাসুদ হোসেন আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তৌফিক হোসেন পলাশ (৩৮) ও সৈয়দ তানভীর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই অপরাধের সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে স্বীকার করে।

এ সময় গ্রেপ্তারকৃত ২ জনের কাছ থেকে ৫৫৩ টি অবৈধ সিম, একটি অবৈধ বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কাজে ব্যবহৃত হয় ল্যাপটপ, ৯টি অবৈধ বায়োমেট্রিক কাজে ব্যবহৃত ট্যাব জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানান, ৪২টি কোম্পানির নামে কোম্পানিগুলোর অনুমতি ব্যতীত ৮৬৭ সিম এ‍্যাকটিভেট করা হয়েছে। ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউস এর সহায়তায় গ্রামীণফোন প্রতিনিধি তানভীর রহমান এর প্রত‍্যেক্ষ তত্ত্বাবধানে একটিভেট করা হয়।

চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, সম্প্রতি একটি জিপি নাম্বার থেকে একজন শ্রীলংকান নাগরিকের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ভাষানটেক থানায় ঐ বিদেশী নাগরিক জিডি করেন। এবং চাঁদা দাবি করা মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে র‍্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে জানতে পারে সিমটি কোন বৈধ রেজিষ্ট্রেশন নেই। পরবর্তীতে র‍্যাব-৪, এই বিষয়ে অভিযান করে ২ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করলে তারা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে সবকিছু বলে দেয়।

এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ২ জনের কাছ থেকে, অবৈধ ৫৫৩ টি সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, নয়টি ট্যাব জব্দ করা হয়।

আইএমটি