ঢাকায় পণ্যবাহী গাড়ির ধর্মঘট চলছে

বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ রোববার (৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ঢাকা বিভাগে পণ্য পরিবহনবাহী যানবাহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ।
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালে ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ থেকে সংগঠনের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
এদিকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পৃথক সমাবেশ থেকে সরকারকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশ থেকে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তারাও প্রায় অভিন্ন দাবি সংবলিত আট দফা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
উভয় সমাবেশের মূল দাবি হলো সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তে যুক্ত করা চালকের ৩ বছরের জেল, অজামিনযোগ্য অপরাধ ও চালকের ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান বাতিল করা।
ফুলবাড়িয়ায় সমাবেশের উদ্যোক্তারা নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান ও বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহর পক্ষ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে তেজগাঁওয়ে সমাবেশকারীরা তাদের বিরোধী পক্ষ হিসেবে পরিচিত।
ফুলবাড়িয়ার সমাবেশ থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ প্রতিটি টার্মিনালে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের নিজেদের গাড়ির চালক দায়ী ছিলেন বলে উল্লেখ করেন ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সামরিক সরকার এরশাদের আমলে মাগুরার একজন চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন কোনো বিরোধী দলও আন্দোলন করতে পারত না। ওই সময়ে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন করে ওই চালককে মুক্ত করেছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ৫ লাখ টাকা জরিমানা আর জেলের দণ্ড নিয়ে কোনো চালক গাড়ি চালাবেন না। তিনি বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ২ কোটি ভোট রয়েছে।
সমাবেশ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ করা যাবে না। ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে। সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে । গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ট্রাক টার্মিনাল বা স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশে গাড়ির ওভারলোডিং বন্ধ করতে হবে। ফুটপাত, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এসএমএন