তিতাস গ্যাসের 'বলগেট সুইচ' খুঁজতেই ৪ ঘন্টা

রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিটের উড়াল সেতুর কাজ করার সময় তিতাসের গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিতাস গ্যাসের 'বলগেট সুইচ' অর্থাৎ গ্যাস লাইনের অন অফ সুইচ খুজেই চার ঘন্টা পার করেছে তিতাস কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) রাত ১১টায় বাস র্যাপিড ট্রানজিটের উড়াল সেতুর ঠিকাদার এমবিএ প্রভিশন এ সহকারী ম্যানেজার শাহিনুর রহমান নতুন সময়ের কাছে এ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, 'রাত ৮টা ২৭ মিনিটে মাটি খোড়ার কাজের সময় তিতাস গ্যাসের লাইন ছিদ্র হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল।'
শাহিন বলেন, 'এক সপ্তাহ ধরে সার্ভিস পাইলিং এ কাজ করা হচ্ছে। কাজের শুরু থেকেই এমন দুর্ঘটনার পূর্ব প্রস্তুতি স্বরূপ তিতাস গ্যাসের কর্মচারী - কর্মকর্তাকেও রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি।
এমবিএ প্রভিশনের এ কর্মকর্তার দাবি, 'সাধারণত এসব কাজ করার সময় এমন দুর্ঘটনার ঘটে ঘটে থাকে। দুর্ঘটনার পর গ্যাস লাইন বন্ধ হলেই ২০ মিনিটের মধ্যে গ্যাস লাইনে জ্বালাই করে সমস্যা সমাধান করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৪টা পার হয়ে গেলেও তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা লাইনের গ্যাস বন্ধ করতে পারেনি। যার ফলে এত বিলম্ভ হচ্ছে।
এদিকে উত্তরা ফায়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম নতুন সময়কে বলেন, ' রাত ১২টার পর সম্পূর্ণরূপে উত্তরার গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। লাইনের গ্যাস বন্ধে টঙ্গী ও তেজগাঁও এলাকায় গ্যাস বন্ধ করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।'
অপরদিকে তিতাস গ্যাসের উত্তরা ডিভিশনের টিম লিডার শাহ মোহাম্মদ আকমল নতুন সময়কে বলেন, 'দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্যাস নিয়িন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।'
উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশিনার (এডিসি) কামরুজ্জামান সরদার নতুন সময়কে বলেন, 'তেজগাঁও এলাকা থেকে তিতাস গ্যাস গ্যাসের মূল লাইনের ৭৫ ভাগ বন্ধ করা হয়েছে, টঙ্গীতে সম্পূর্ণ বন্ধ ও বিমানবন্দরেও বন্ধ করে গ্যাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।'
আইএমটি