ঢাকা বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক হলেন লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম


৫ নভেম্বর ২০২০ ০৬:০৪

ফাইল ছবি

লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলামকে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বুধবার তাকে এ দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
র‌্যাব সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সুযোগ্য কর্মকর্তা। তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের একজন গ্র্যাজুয়েট। তাঁর গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশন এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন এবং গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে র‌্যাব-১২ জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, অবৈধ অস্ত্রধারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের দমনে সফলতার সাথে কাজ করেছে। এছাড়াও সমাজের নানামূখী অপরাধ দমন সংক্রান্ত অভিযানে লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি উগান্ডা, ইউকে, ভারত এবং ইউএসএ হতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সরকারী কর্তব্যে গমন করেন।

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর সেটি নিয়ন্ত্রণেও নিজের অধীনস্থ ফোর্সকে করোনামুক্ত রাখতে লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম’র অনন্য ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। লকডাউন, হোমকোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণেও তার ছিলো অনন্য ভূমিকা। তার উদ্যোগে ব্যাটালিয়নে কর্মরত সকল র‌্যাব সদস্যকে সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জনসাধারনের মধ্যেও এ সব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তার নির্দেশক্রমে জনসমাগম স্থানে বেশ কয়েকটি জীবানুমুক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এছাড়াও দুর্গত মানুষের সহায়তায় তিনি খাদ্যসামগ্রীসহ ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করেন।