ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


‘নাম মানুষকে বড় করে না’


২ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫৭

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাম মানুষকে বড় করে না। যিনি মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে তার নামের প্রয়োজন হয় না। সোমবার সকালে জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নামে প্রস্তাব করেন। পদ্মা সেতুর নামকরণ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটির নাম পদ্মা সেতুই থাকবে। তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, নাম কামানোর জন্য নয়।

শেখ হাসিন জানান, আমি নাম চাই না। মানুষের কল্যাণে এই সেতু করছি। বিশ্বব্যাংক অর্থ বরাদ্দ বাতিল করেছে। তারপরেও আমি এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এই সেতুর নাম কোনোভাবেই আমার নামে হবে না।

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বরাবরই নিজের নাম ব্যবহারে রাজি হন না। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও তিনি একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের সিনোহাইড্রোর জাজিরা ঘাট এলাকায় পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে পদ্মা সেতুর নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামে করা হবে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহস দেখান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। এর আগে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ২০০৭ সালে একনেকে ১০১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

২০১২ সালের জুনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

পুরো প্রকল্পে প্রায় ৪ হাজার জনবল কাজ করছে। এর মধ্যে দেশীয় ৩ হাজার ও চীনের ৯০০। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

এসএমএন/আরকেএইচ