চ্যানেল আই-এর ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বিশ বছরে পদার্পণ করলো দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ সেজেছে বর্ণিল সাজে। সকাল থেকেই বর্ষপূর্তী উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন দেশের সর্ব স্তরের নানা পেশার মানুষ। দিনভর ছিলো শোবিজ অঙ্গনের তারকা ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্বদের উপস্থিতি।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে সকাল থেকেই চলছে জমজমাট আয়োজন। সকাল ১১টায় কেক কেটে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনে জন্মদিন উদযাপনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা ফুল হাতে চ্যানেল আইয়ে আসতে শুরু করেন। আসেন ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রী, নির্মাতাসহ অন্যান্য কলাকুশলীরাও। আর এদিন নিজের প্রযোজিত প্রথম সিনেমার প্রচারণার কথা মাথায় রেখেই ‘দেবী’ রূপেই ভরা মজলিশে হাজির হন জয়া আহসান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ‘দেবী’র আরেক অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বিশ্ব রঙ-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা।
কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করা হয়। চ্যানেল আইয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে আসে বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না ও ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক এসএম উজ্জ্বল হোসেন। সংগঠনের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না চ্যানেল আই এর সফলতার ১৯বছর পেরিয়ে বিশ বছরে পদার্পণের নানা সফলতার বর্ণনা তুলে ধরে জানায় আগামী দিনে একই ধারায় চ্যানেল আই সুস্থ ধারার বিনোদন নির্মাণ ও প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবে। সংগঠনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক এসএম উজ্জ্বল হোসেন জানায় সুস্থ ধারার বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারে চ্যানেল আই এর জুড়ি নেই। বর্তমান দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়ার নানা দেশে চ্যানেল আই প্রদর্শিত হচ্ছে। পৃথিবীর যেখানে বাঙালি সেখানেই চ্যানেল আই, বাংলার মানুষের হৃদয়ের চ্যানেল এটি।
দেশের জেলা পর্যায়ে চ্যানেল আই এর ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখা হয়। নানা রকম উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও প্রদর্শনের মাধ্যমে চ্যানেল আই কোটি মানুষের নজর কেড়েছে, ছুয়েঁছে হৃদয় যা প্রশংসার দাবিদার।
একেএ