ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


‘বিশ্বনেতাদের দেওয়া এ সম্মান বাংলাদেশের’


১ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৫৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের সফরে অনেক সম্মান পেয়েছি, সেই সাথে বাংলাদেশও। বিশ্বনেতাদের দেওয়া এ সম্মান বাংলাদেশের সম্মান, পুরস্কার বাংলাদেশের মানুষদের উৎসর্গ করলাম।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান শেষে সোমবার সকালে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে আয়োজিত দলীয় নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘২০১৮ স্পেশাল ডিস্টিংকশন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিক অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জনগণের প্রতি এসব অর্জন উৎসর্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার যত অর্জন তা বাংলাদেশের জনগণের দান, সুযোগ দিয়েছে বলেই এত সাফল্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শত বাধা-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি, এটা মাথায় রেখেই চলতে হবে। আত্মতুষ্টিতে থাকা যাবে না, আত্মতুষ্টি মানেই পতন।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজ আত্মমর্যায় প্রতিষ্ঠিত দেশ। জনসমর্থন ও একের পর এক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারায় টানা দুই মেয়াদে দেশের মর্যাদাপূর্ণ সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রতিপক্ষকে সব সময় শক্তিশালী মনে করেই চলতে হবে। দলের সাফল্য সব জায়গায় তুলে ধরতে হবে। ভোটের অধিকার কেবল আওয়ামী লীগই প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এবারের সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সে দেশের সরকার আন্তরিক।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং ওই দিন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া অভ্যর্থনায় যোগদান ছাড়াও ডাচ রাণী ম্যাক্সিমা এবং এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্সটি কালজুলাইদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। তার সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পোম্পেও। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বিশ্বের মাদক সমস্যাসহ বেশ কটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগদেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি মার্কিন চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।

আইএমটি/আরকেএইচ