ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি


৮ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫৭

বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার ফাঁসির পরোয়ানা ইস্যু করেন। এর আগে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে তোলার পর বেলা দেড়টা নাগাদ তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ। এর আগে মঙ্গলবার ভোর রাতে মিরপুর এলাকা থেকে আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান আদালতে তোলা হয় বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে। এদিন গুলশানের বাস ভবনে থেকে এক ভিডিও বার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আবদুল মাজেদের দন্ড কার্যকর প্রক্রিয়াধীন। আর স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এই খুনির দন্ড কার্যকর মুজিববর্ষের অন্যতম উপহার।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপর পাঁচ খুনি লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার) ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। অপর ফাঁির দন্ডপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী পলাতকরা রয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শিশুসন্তান রাসেল, স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মামলা হয়। বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা সৌভাগ্যবশত দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।