বড় বাধা বিকল্পধারা

বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গড়তে বাঁধ সেজেছে বিকল্পধারা নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার পুত্র মাহি বি চৌধুরী। ঐক্য থেকে জামায়াত ইসলামীকে বাদ দেওয়া, র্নিবাচনে ১৫০ আসন দাবী করাসহ বেশ কিছু শর্ত বিকল্পধারার ‘আন্তরিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
এছাড়া, নির্বাচনে জয়ী হলে মালয়েশিয়ার মতো ২ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কথাটাও ঐক্যের পথে বাধাই মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
যে কারণে বিকল্পধারার এসব শর্তে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।সেই সাথে বিএপির ভিতর থেকে দাবি উঠেছে, বিকল্পধারাকে ছাড়াই বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে।
ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন জানান, ‘এগুলো কোনো সমস্যা নয়।’ তিনি যে ঘোষণাপত্র দিয়েছেন, তাতে জামায়াত নিয়ে কোনো বক্তব্য ছিল না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, বিকল্পধারা ‘চিপায়’ পড়েছে। না পারছে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকতে, না পারছে সরকারের সঙ্গে থাকতে।
বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলের, কেন বিকল্পধারা শর্ত দিচ্ছে সেটা ২০ দলের নেতৃত্বকারী দল বিএনপিকে বুঝতে হবে। বুঝতে ব্যর্থ হলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জানা গেছে, বিকল্পধারার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে যুক্তফ্রন্টের অন্য দলগুলোর। তাদের কয়েকজন বলেন, বৃহৎ জাতীয় ঐক্যে জামায়াত থাকছে না। বিএনপি জোটগতভাবে নয়, একাই আসছে। তা হলে কেন এই ধরনের শর্ত?
বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট। এই ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপি নেতারা বলেন, আবদুর রব ও মান্নাও পরিবর্তন চান। গণতন্ত্র ফেরাতে রাজপথে নামতে চান। কিন্তু বিকল্পধারার নেতাদের মনোভাব একটু ভিন্ন।
মাহী সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে বিএনপির সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐক্য করতে চাই। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তিকে শরিক রাখলে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে আমাদের আপত্তি রয়েছে।
এসএমএন