হাই-টেকে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে প্রায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি করেছে নয়টি কোম্পানি। এই বিনিয়োগের ফলে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাই-টেক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে নয়টি কোম্পানিকে জমি বরাদ্দ প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
চুক্তিকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চুক্তি প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, হাইটেক পার্কের জায়গাটি খাম্বা লিমিটেডের দখলে ছিল সেই জায়গা থেকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সাইবার জায়া দেখেছি সেই সময় যেখানে একটা ইটও ছিল না। ঠিক একইভাবে পুত্রাজায়াতেও ছিল না। সেই রকমভাবে আজকের বাংলাদেশের এই হাই-টেক পার্কটি হয়ত সাইবার জায়ার মত করতে পারিনি কিন্তু সম্ভাবনার দিক থেকে সাইবার জায়ার চেয়ে একটুও কম করিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে এক বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে বের হয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আমেরিকার ব্যবসায়ীরা আইসিটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
চুক্তির মাধ্যমে ৯টি কোম্পানিকে মোট ২০ দশমিক ৫০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে যা এই হাই-টেক পার্কে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে হাই-টেক পার্কের যাতায়াত সহজ করার লক্ষে দ্রুত রেলওয়ে প্রকল্প করা হচ্ছে বলে জানান মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, রেল মন্ত্রীর সাথে দ্রুতই বসা হবে। এটা সাধারণ রেল সার্ভিস না। শুধু মাত্র হাইটেক পার্কের জন্য ডেমো-ট্রেন করা হবে।
আগামী ৪০ বছরের জন্য হাই-টেক সিটিতে রবি অজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস, এবং যেআর এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের সুযোগ পেল।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক। এখানে কাজ শুরু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত ২৩১ একর জমিকে ৫টি ব্লকে ভাগ করে ডেভেলপার নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে পার্ক সংলগ্ন ৯৭.৩৩ একর জমি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কতৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দ পাওয়া যায়।
একেএ