ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


সিনহার ব্যাপারে মন্ত্রীর প্রভাব পড়বে না: দুদক


২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫২

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
“সিনহা দুর্নীতিবাজ ও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক” আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য বলে মনে করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
 
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
 
আইনমন্ত্রী বলেছেন যে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার তদন্ত করবে এবং দুদক মামলা করবে, স্বাধীন কমিশন হিসেবে দুদকের কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আইনমন্ত্রী ওনার যা ইচ্ছা বলতেই পারেন। সেটা তো আমাদের প্রভাবিত করে না। মন্ত্রীর কথায় তো আর মামলা হবে না। মন্ত্রীর কথায় অনুসন্ধান হবে না।
 
মন্ত্রীর কথার প্রভাব দুদকে পড়বে না নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, প্রশ্নই আসে না। মন্ত্রীর কথার কোনো প্রভাব দুদকে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
 
অনুসন্ধান করবেন কিনা- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, চূড়ান্ত এভিডেন্স
ছাড়া আমরা কনভিন্স না হলে কারো বিরুদ্ধে কোনো অনুসন্ধান হবে না, কোনো তদন্তও হবে না। কথা
পরিস্কার।
 
দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলমের বক্তব্য দুদকের বক্তব্য না। খোরশেদ আলম দুদকের মুখপাত্র নন জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যে আইনজীবী রাখি সেটা আমাদের মামলার জন্য রাখি। আইনজীবী তো আমাদের মুখপাত্র না। উনি যেটা বলেছেন তা আমি দেখেছি পত্রিকায়, সেটা তার নিজস্ব কথা।
 
তদন্ত চলা অবস্থায় আপনাদের আইনজীবীরা এমন মন্তব্য করতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আইনজীবীর মুখ তো আর আপনি বন্ধ করতে পারবেন না। তিনি এখন দেশে নাই। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি নাই। আমাদের মুখপাত্র হচ্ছেন সচিব আর দু এক কথা হয়ত আমি বলতে পারি। তো, আমরা তো কিছু বলি নাই। আইনজীবী তার নিজের দায়িত্বে কথা বলেছেন। তিনি কী জেনেছেন আমার জানা নেই।
 
সিনহার বিষয়ে আপনারা অনুসন্ধান করছেন কিনা জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সে প্রশ্নের জবাব আমি এখন দিব না। আপনাদের এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
 
এসকে সিনহার সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ে ৪ কোটি টাকার বিষয়ে উল্লেখ আছে বইয়ের বক্তব্যের বিষয়টি আপনারা দেখবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ জানতে চান, বই আপনার কাছে আছে কিনা? আমি বই দেখি নাই। দেখে হয়ত মন্তব্য করা যাবে। তবে ৪ কোটি টাকার যে অভিযোগ সেটি হচ্ছে ফার্মাস ব্যংকের ৪ কোটি টাকা দুই জন কথিত ব্যবসায়ীর নামে ঋণ করা হয়েছে সেখান থেকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় গেছে। 
 
তিনি বলেন, আমরা প্রসিকিউসিং এজেন্সি আমরা তো মেঠো বক্তব্য দিতে পারব না। টাকা কোথায় গেল কেমনে আমাদের সেটা বের করতে হবে। 
 
৪ কোটি টাকার অনুসন্ধান কবে শেষ হবে সে বিষয়েও জানেন না বলে দুদক চেয়রম্যান জানান, আমি এখন বলতে পারব না যে টাকাটা কোথায় গেছে। সেটা তো আমাকে বের করতে হবে। 
 
একেএ