ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভূটানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত


১০ জুলাই ২০১৯ ২০:২৫

দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং ভূটান প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ভূটানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সোনাম টি রাবজিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পিটিএ চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কে রাবজিই বলেন, ভূটান থেকে শীঘ্রই এক লাখ মেট্রিক টন পাথর নারায়ণগঞ্জে এসে পৌঁছবে।

বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ভূটান একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে। ১৯৭১ সালে ভূটান বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ বলেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। জলবিদ্যুতের সম্ভবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বিবিআইএন উদ্যোগের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ভূটান চাইলে যেকোন স্থানেই ওয়্যার হাউস নির্মাণ করতে পারে যাতে করে বিবিআইএন সুবিধা ব্যবহারকারী যানবাহনগুলো সেখানে তাদের মালামাল সংরক্ষণ করতে পারে। শেখ হাসিনা এবং ভূটানের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে দুই দেশের সড়ক যোগাযোগের বিষয়েও আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূটান চাইলে বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং অন্যান্য সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেশ কয়েকবার ভূটান সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, যখনই তিনি কোন সম্মেলনে যোগদিতে ভূটান গিয়েছেন ভূটানের প্রকৃতি ও পরিবেশ তাঁকে আকৃষ্ট করেছে। ভূটানের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।ধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।