ঢাকা বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


‘জীবনতরী’ হয়ে উঠেছে জীবনের আলো


৬ অক্টোবর ২০১৮ ২২:২০

‘জীবনতরী’নামের ভাসমান হাসপাতালটি গত ১৯ বছর ধরে ঘাটে ঘাটে ভিড়ে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে হাসপাতালটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার গুদারাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাটে ভিড়েছে।

এরপর গত ৩ মাস ধরে অল্প খরচে মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। ভাসমান এ হাসপাতালটিতে স্বল্প খরচে চিকিৎসা পেয়ে দরিদ্র রোগীদের মুখে হাসি ফুটছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার গুদারাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে দুইতলা ‘জীবনতরী’ হাসপাতালটি ভিড়েছে। এ হাসপাতালে লাইনে দাঁড়িয়ে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন রোগীরা। অন্যান্য হাসপাতালের মতো ভাসমান এ হাসপাতালেও রয়েছে রিসিপশন, ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটার, রোগীদের বেড, অফিস কক্ষসহ সবকিছু। এছাড়া জরুরি রোগী আনা-নেওয়ার জন্য ভাসমান এ হাসপাতালে বাঁধা রয়েছে ২টি স্পিডবোড, নদীর পাড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।

ভাসমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালনাহাসপাতালটি কার্যক্রম শুরু হয় করে।
এ হাসপাতালটি ১২ বেডের অনুমোদিত। এখানে নাক, কান ও গলা অভিজ্ঞ একজন, চোখের একজন এবং একজন অর্থোপেডিকস চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া ৪জন নার্স, ২জন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জন জনবল রোগীদের সেবার নিয়োজিত রয়েছেন।

‘জীবনতরী’ নামে এ হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে ভারতীয় ও আমেরিকান লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে চোখের ছানির অপারেশন করা হয়। এছাড়া স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা নাক, কান, গলা, ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগীর প্লাস্টিক সার্জারিসহ আপারেশন করা হয়। বিকলাঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হয় এ হাসপাতালে। গত ৩০ জুন ভাসমান এ হাসপাতালটি কালীগঞ্জের গুদারাঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে ৭ জুলাই থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।

ভাসমান হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০ জন রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত ৩ মাসে এখানে ২০০ রোগীর চোখের অপারেশন করা হয়েছে।

এসএমএন