ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


১৯ মার্চ ২০২১ ০৬:৫১

সংগৃহিত

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরিকৃত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগ চলছে তা যোগানে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে যে পরিমাণ টিকা কেনা হয়েছে সেগুলো সময় মতোই পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে জানান, বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে টিকা কেনা হয়েছে সেটি একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে হয়েছে। তাই সেই টিকাগুলো সময় মতোই পাওয়া যাবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। বিজনেসের এই জায়গাটাতে সবাই তাদের কমিটমেন্ট ঠিক রাখবে সেটাই তো সারা দুনিয়াতেই আশা করা হয়।’

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, মোট ছয় মাসের মধ্যে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাঠানোর কথা রয়েছে। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে টিকা এসেছে মাত্র ২০ লাখ। আর চলতি মাসে এখনো টিকার চালান আসার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, টিকা আসার বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা জানায়নি বেক্সিমকো। তবে আমরা আশাবাদী। আমরা চাই আমাদের টিকা ঠিক সময়ে চলে আসুক এবং টিকাদান কর্মসূচির যে গতিটা আছে সেটা অব্যাহত থাকুক।

এদিকে, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাইরাস টিকার প্রয়োগ বিশ্বের অনেক দেশে স্থগিত হলেও বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টিকার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করা হয়েছে বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড, থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নরওয়েতে। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডস।

এই ঘটনায় বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে কিছু আলোচনা হলেও যারা টিকা নিচ্ছেন তারা জানিয়েছেন যে, এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত নন তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকা পাওয়ার জন্য ৬০ লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। আর টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ মানুষের শরীরে।