ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


বাগমারা উপজেলায় হঠাৎ বেড়েছে সর্দি-জ্বর


১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০৪

সংগৃহিত

বাগমারার ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্তের রোগি। দুই মাসের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সহজে মিলছে না সমাধান।

রোগিরা ঘুরছেন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে বা আশেপাশেরর কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা সদর হাসপাতালে। ডাক্তাররা লিখে দিচ্ছেন সাধারণ মানের ওষুধ। তাতেও মিলছে না সমাধান। অনেকে এসব লক্ষণকে করোনা সন্দেহ করে আরো কাহিল হয়ে পড়ছেন।


বুধবার সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ভবানীগঞ্জ সাব সেন্টার ঘুরে এমন রোগিদের দেখা যায়। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষরা এভাবে সর্দি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ছুটে এসেছেন ডাক্তারের কাছে। তবে ডাক্তার এসব রোগিদের সর্দি জ্বরের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন। অনেকে এমন সর্দি জ্বর ও কাশিকে করোনার উপসর্গ সন্দেহ করে মানসিক ভাবে কাহিল হয়ে পড়ছেন। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সর্যপাড়া মহল্লার কল্পনা খাতুন তার ছেলের স্ত্রী সুইটি খাতুন ও এক বৎসরের কন্যা সন্তান হাবিবাকে নিয়ে ভবানীগঞ্জ সাব সেন্টারে এসেছেন সর্দি জ্বর ও কাশির সমস্যা নিয়ে।


কল্পনা খাতুন জানান, তার ছেলে কামাল হোসেন তার স্ত্রী কন্যাসহ তিন জনই সর্দি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কোন কিছুতেই এ সর্দি জ্বর ভালো হচ্ছে না। তারা বুঝতে পারছেন না তাদের করোনা হয়েছে কিনা। একই সদস্যা নিয়ে ভবানীগঞ্জ হেদায়েতী পাড়া মহল্লার জান্নাতুন নেছা এসেছেন তার সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে সর্দি জ্বর ও কাশির সমস্যা নিয়ে। এসব রোগিদের চিকিৎসা দিতে হিমহিম খাচ্ছেন ভবানীগঞ্জ সাব সেন্টারের স্বাস্থ উপ সহকারি ডা. সাথী খাতুন।

তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে একশ থেকে দেড়শ রোগি এখানে চিকিৎিসা নিয়ে থাকেন। এখন রোগিদের অধিকাংশই সর্দি জ্বর ও কাাশির সদস্যা নিয়ে আসছেন। তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করছেন এসব রোগিদের যথাযত চিকিৎসা সেবা দিতে। একইদিন উপজেলার দর্গামাড়িয়া গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে একই চিত্র লক্ষ করা যায়। এখানেও প্রতিদিন গড়ে ষাট থেকে সত্তর জন রোগি চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
এ ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ প্রোভাইডার সাজাতা কুন্ডু জানান, এখকার রোগিদের অধিকাংশই সর্দি জ্বর ও কাশির সদস্যা নিয়ে আসছেন। উপজেলার শিকদারী বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডা. টিপু জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন রোগি তার কাছে আসছেন সর্দি জ্বর ও কাশির সদস্যা নিয়ে। এ রোগিদের অনেকে এমন উপসর্গকে করোনা সন্দেহ করে মানসিক ভাবে কাহিল হয়ে পড়ছেন বলেও তিনি জানান। তবে তিনি রোগিদের সাধ্যমত আশ্বস্থ করার চেষ্টা করছেন সর্দি জ্বর হলেই করোনা হয় না। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিরকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, এখন সিজিন চেঞ্জ হচ্ছে। এ সময় এমন সর্দি জ্বর ও কাশি হতে পারে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। করোনা উপসর্গ হলে তার পরীক্ষার জন্য আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।
সবকিছু মিলে এটা আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত সর্দি জ্বর। এসবের সহজ চিকিৎসা আমাদের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সাব সেন্টার ও বাগমারা মেডিকেলে রয়েছে। রোগিরা আসলে তাদের চিকিৎসা ও প্রযোজনীয় ওষূধ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।