দেশে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ২০ জন
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন একজন।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন আক্রান্তদের একজন নারী, দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৭০ এর বেশি। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তিনি আইসিইউতে আছেন। নারী যিনি তার কাশি আছে, ইতালি থেকে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শ আছে। আরেকজন পুরুষের বয়সও ৩০ এর কোঠায়।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত তিনজন আলাদা পরিবারের। দুজনের বিদেশফেরত ব্যক্তির সঙ্গে কন্ট্রাক্ট হয়েছে। আরেকজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
দেশের বাইরে থেকে এসে যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দেন নাসিমা সুলতানা। এগুলো না মানলে সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। একটি এলাকা এরইমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বয়স্ক বা যারা কিডনি, হার্টসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ভুগছেন, তাদের বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তারা যেন বাইরে না যান। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং করা হয়েছে মোট ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৪ জনের। ২৪ ঘণ্টায় স্কিনিং করা যাত্রীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে কল ২ হাজার ৪১৭টি। তথ্য বাতায়নে ২৯ হাজার ৬২টি কল। সেবা নিয়েছেন ৫০ জন। আইসোলেশনে আছেন ৩০ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ জন।
‘বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এলে অবশ্যই ১৪ দিন বাসার একটি কক্ষে অবস্থান করতে হবে। কারো সঙ্গে মিশবেন না। ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য কারো সঙ্গে মেলানো যাবে না। এসব উপদেশ মেনে চললে এদেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে। হোম কোয়ারেন্টিন মেনে না চললে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’
অধ্যাপক নাছিমা সুলতানা বলেন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। হাঁচি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। হাত মেলানো ও কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইতোমধ্যে ফ্লাইট অনেকগুলো বাতিল করা হয়েছে। যারা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ, তারা বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে বিশ্বে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৮৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজার ৫৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭৭৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮২৮ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে মৃত্যু ২৩ জনের।
নতুনসময়/এআর
-2020-03-19-17-17-15.jpg)
