ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


করোনাভাইরাস শনাক্তে কিট উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র


১৯ মার্চ ২০২০ ২১:২৯

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ দুপুরে আমরা সরকারের কাছ থেকে এ কিট তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। এর কাঁচামাল যুক্তরাজ্য থেকে আসতে সাতদিনের মতো সময় লাগবে। কাঁচামাল এলেই দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা কিট উৎপাদনে যাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিট উৎপাদনের কাঁচামাল চীনের কাছেও আছে। তবে চীন বাণিজ্যিকভাবে কিট উৎপাদনের জন্যে কাঁচামাল বিক্রি করবে বলে না জানিয়েছে। আশা করছি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলে দেশে কিট নিয়ে কোনো সঙ্কট থাকবে না।’

বুধবার (১৮ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এ কিট তৈরির ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, স্বল্পমূল্যের ওই কিট দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন ড. বিজন কুমার শীল।

গত বছরের নভেম্বরে চীনের উহানে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এ ভাইরাসের টেস্ট কিট উৎপাদনে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কাজ শুরু করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসের কিট তৈরি করলেও বাংলাদেশে এমন কাজ অন্য কেউ এখনো করেনি।

গণস্বাস্থ্যের সুদক্ষ টিম এই কিটের ডিজাইন এবং উৎপাদনের কাজ করছে। এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের ডায়াগনোসিস কিট (SARSPOC kit) তৈরির সময় সিঙ্গাপুরে কাজ করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনিই গণস্বাস্থ্যের এই টিমের অধিনায়কত্ব করছেন।

আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এই কিটে ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এর জন্য স্পুটাম নেয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমে সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্তের নমুনা নেওয়া হবে। সেই রক্ত থেকে ‘সিরাম’ আলাদা করতে হবে। কিটে সেই সিরাম রেখে তার ওপর এন্টিজেনের বিক্রিয়া ঘটানো হবে। যদি বিক্রিয়া হয় তাহলে সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের প্রাথমিক উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রমাণিত হবে। বিক্রিয়া না করলে তিনি আক্রান্ত নন বলে বিবেচিত হবে।

নতুন সময়/এআর