ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় সূর্যের হাসি, কাঁপছে তেঁতুলিয়া


৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:১১

ফাইল ছবি

চলতি মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় ১৯ ডিসেম্বর। তারপর দু-একদিন বাদে প্রতিদিনই কোনো না কোনো অঞ্চল শৈত্যপ্রবাহে আক্রান্ত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের কিছু অঞ্চল বাদে শৈত্যপ্রবাহ স্থির থাকেনি। নিত্যনতুন আক্রান্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী তিন দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ এই তীব্র শীত থেকেই যাচ্ছে।

উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এখানে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

ডিমলায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রাজারহাটে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৭ দশমিক ৬ ডিগি, বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সৈয়দপুরে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এগুলোকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

এছাড়া রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮ ডিগ্রি, বগুড়ায় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, তাড়াশে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, যশোরে ৯ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৮ ডিগ্রি ও টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এই মাত্রার তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।