এবার ভিন্ন গল্প নিয়ে হাজির হচ্ছেন নানজীবা

‘মাল্টি ট্যালেন্টেড’ নানজীবা খান। বহু প্রতিভার অধিকারী তিনি। অষ্টাদশী এই তরুণী একাধারে ট্রেইনি পাইলট, সাংবাদিক, নির্মাতা, উপস্থাপিকা, লেখক, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর, ইউনিসেফ-এর তরুণ প্রতিনিধি এবং বিতার্কিক।
এমনকি নির্মাতা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট ও সিটিএফবি’তে। শিশু নির্মাতা হিসেবে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে নিজের কাজগুলোতে প্রমিনেন্ট আর্টিস্টদের নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন নানজীবা।
নানজীবা জীবনের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘কেয়ারলেস’ নির্মাণ করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘সাদা কালো’ পরিচালনার জন্য ‘ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। এরপর ‘গ্রো আপ’, ‘দি আনস্টিচ পেইন’ সহ তৈরি করেছেন আরো ৬টি শর্টফিল্ম ও প্রামাণ্যচিত্র।
সম্প্রতি শেষ করেছেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে তার রচনা ও পরিচালনায় প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারিফিল্ম ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’-এর শুটিং। এটি প্রযোজনা করেছেন ফয়সাল আনোয়ার এবং সিনোমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন পাভেল মাহমুদ জয়। সম্পাদনা করেছেন জ্যাকি জন। প্রামাণ্যচিত্রটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়রা হিমু, অ্যানি খান, শিরিন আলম, রাজু আলীম, সাইফ সাইফুল সহ আরও অনেকে।
উঠতি বয়সী কলেজ পড়ুয়া একজন কিশোরীর অতি আবেগপ্রবণ প্রেমের ফলে দুটি পরিচয়হীন যমজ শিশুর জন্ম হয়। দুটি শিশু ও সেই তরুণীর জীবনের পরিণতি ও সমাজ নারীদের পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সেটি দেখা যাবে এটিতে।। ওই সময়টিতে সমাজের অবহেলার ফলও দেখানো হয়েছে। পারিবারিক সহযোগিতার অভাব ও বয়ঃসন্ধিকালে সাবধানতার অভাব যে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তারই প্রতিচ্ছবি এটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নানজীবা খান বলেন, ‘আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা সমস্যার কথা জেনে বা বুঝে লুকিয়ে রাখি। একটি পর্যায়ে যখন সেটি বড় আকার ধারণ করে তখন শেষ মুহূর্তে সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতন হলে সেটি হয়তো অতোটা গুরুতর হয়ে ওঠে না। শেষ থেকে শুরু করাও কিন্তু একটা যোগ্যতা। সমাজের পরিচয়হীন শিশুদের বাস্তব পরিণতি সম্পর্কে দেখা যাবে এই ডকুফিল্মটিতে। বর্তমানে পোস্ট প্রোডাক্টশনের কাজ চলছে।’
দুটি পরিচয়হীন যমজ শিশুর গল্প নিয়ে নির্মিত এ ডকুফিল্মটির শেষে বিষয়টি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক পররাষ্টমন্ত্রী দিপু মনি,আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের বক্তব্য দেখা যাবে বলে জানা গেছে। খুব শীঘ্রই এটি টেলিভিশনের পর্দায় দর্শক দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছেন নানজীবা খান।
এমএ