ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


আদালতে হাজিরা দেননি সালমান খান


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩

ফাইল ছবি

১৯৯৮ সালের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের মধ্যে আলাদা জায়গায় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান খান। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলী খান, নীলম, টাবু ও সোনালি বেন্দ্রে। এরপর সালমান খানের বিরুদ্ধে যোধপুর আদালতে মামলা করা হয়।

২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরের একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। এই মামলায় অন্য তিন অভিযুক্ত সাইফ আলী খান, টাবু ও সোনালি বেন্দ্রেকে আদালত বেকসুর খালাস দেন। সালমান খানকে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ এপ্রিল বিকেলে সালমান খানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন যোধপুর সেশন কোর্ট। ৫০ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে এই বলিউড তারকাকে জামিন দেওয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান সালমান খান।

আজ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু যোধপুর নগর দায়রা আদালতে হাজির হননি সালমান খান। তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ১৯ ডিসেম্বর।

এর আগে গত ৪ জুলাই মামলার শুনানিতে সালমান খানকে আজ আদালতে অবশ্যই হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন নগর দায়রা বিচারক চন্দ্র কুমার সোনগারা। তা না হলে সালমান খানের পুনরায় জামিনের আবেদন নাকচ করা হবে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালমান খানকে হুমকি দেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এরপর থেকে আদালতে হাজির হননি সালমান খান।

সালমান খানের আইনজীবী নিশান্ত বোরা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ওখানে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এবং আদালত এ বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলেননি।

এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। গ্যারি শুটার নামের ওই ছাত্র ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সালমান, আপনি হয়তো ভাবছেন, ভারতীয় আইনের হাত ফসকে বেরিয়ে যাবেন। কিন্তু বিষ্ণোই সম্প্রদায় এবং সোপু পার্টি এরই মধ্যে আপনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। আপনি সোপু (স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি) আদালতে অভিযুক্ত।’

এরপর বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে উপ–পুলিশ কমিশনার ধর্মেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। সালমান খানকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা এর তদন্ত শুরু করেছি।’