ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ায় খুশি নারীরা


১৫ জুন ২০১৯ ০১:১২

জান্নাত আক্তার বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মাকসুদ আলমকে সিগারেট ছাড়াতে চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু কিছুতেই ছাড়াতে পারছেন না। রাজধানী ঢাকা মিরপুরের বাসিন্দা এই নারী এখন কিছুটা আশার আলো দেখছেন তার স্বামীকে সিগারেট ছাড়াতে পারবেন বলে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ার প্রস্তাব দেখে তার এই আশা। স্বামীকে এবার কড়া বার্তা দিলেন সিগারেট ছাড়ার। এতে স্বামীর কিছুটা সম্মতি দেখে তার মনে স্বস্তি।

জান্নাত বলছিলেন, সংসারে সিগারেটের বাড়তি খরচ কমাতে এবার স্বামীকে কড়া করে বলে দিয়েছি। তাকে এটা ছাড়তেই হবে। দাম আরও বাড়ালে আরও ভালো হতো।

সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবকে জান্নাতের মতো স্বাগত জানিয়েছেন বহু নারী।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার জীবনের প্রথম বাজেট পেশ করেন বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম এই বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। উচ্চস্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে অনেক নারী আবার ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, শুধু দাম বাড়ালে হবে না। সিগারেটের উৎপাদন, বিপণন বন্ধ করতে হবে।


নতুনসময়/এনএইচ