ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


রানার বাইকের সঙ্গে যু্ক্ত হলো পাঠাও


২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪১

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও যৌথভাবে মানুষকে সাশ্রয়ী যানবাহন সেবা দিতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে উভয় প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় খুব কম ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১২ অথবা ১৮ মাসের কিস্তির সুবিধায় রানার মোটর সাইকেল কেনা যাবে।

চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, পরিচালক আমিদ সাকিফ খান, রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকেশ শর্মা, হেড অপ করপোরেট সেলস আশিক আহমেদ এবং পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস এবং হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স রুজান সাওওয়ারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, দেশে মোটর সাইকেল উৎপাদন করায় এই পণ্যের দাম অনেক কমে আসছে। যদি মোটর সাইকেলের সরঞ্জামাদি দেশে উৎপাদিত হয় তাহলে এর দাম আরো অনেক কমে আসবে। যারা পাঠাওতে রাইড শেয়ারিং করে তারা খুম কম ডাউন পেমেন্টে ১২ অথবা ১৮ মাসের কিস্তিতে রানারের মোটর সাইকেল কিনতে পারবেন। পাঠাও থেকে ইনকামের টাকা দিয়েই মোটরসাইকেলের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। এতে নিজের আর্নিং বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, যারা পাঠাওতে রাইড শেয়ারিং করেন তারা রানারের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলের মোট মূল্যের মাত্র ২০% ডাউন পেমেন্ট দিয়েই বাইক নিতে পারবেন বলে রানারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পাঠাও বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা প্রযুক্তি-ভিত্তিক র্স্টাট আপ। দেশের কাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলায় তারা পড়ে তুলেছে বাস্তবমুখী ও বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান। সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ডেলিভারি কোম্পানি এবং অন্যতম জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পর তারা এখন চালু করেছে খাবার ডেলিভারি সেবা। আর এই সকল সেবা একই প্লাট ফর্মে পাওয়া যাচ্ছে। হাজার হাজার মোটরবাইক, গাড়ি ও বাইসাইকেল এর প্রগতিশীল সমন্বয়ে এবং বিশ্বমানের প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের সমাধানগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথে।

অন্যদিকে ২০০০ সালে মোটরসাইকেল আমদানি করে বাজারজাত শুরু করে রানার। ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার বাংলাদেশে প্রথম মোটরসাইকেল কম্পোনেন্টস তৈরির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু-যা বুয়েট এবং বিআরটিএ অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে রানার পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং,টেষ্টিং ইত্যাদি মেশিনারীজ স্থাপনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী হিসাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল কারখানা হিসেবে ২০১২ সালে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে। হিমালয়ের দেশ নেপালের বাজারে সাফল্যের পর এবার ভুটানেও মোটরসাইকেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড।

এমএ