ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কেরোসিনেই ভরসা ৪৪ শতাংশ মানুষের


১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৫

একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড। অন্যদিকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৪৪ ভাগ মানুষ আলোর জন্য কেরোসিনের উপর নির্ভর করছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের এক গবেষণায়।

সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রামের এ গরীব পরিবারগুলোকে আলো জ্বালানোর জন্য কেরোসিনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এ কারণে তাদের রান্না, শিক্ষা ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এক কর্মশালায় এই প্রতিবেদনটি পেশ করেন বিআইডিএসের গবেষণা সহযোগী তাহরিন তাহরিমা চৌধুরী।

গবেষকরা বলছেন, প্রত্যন্ত এলাকার ৪৪ শতাংশ মানুষ এখনও আলোর জন্য কেরোসিনের উপর নির্ভর করছে। খাগড়াছড়িতে ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং বান্দরবানে ৮৫ শতাংশ পরিবার এখনও কেরোসিন ব্যবহার করে। রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামে ৩৭ শতাংশ, লালমনিরহাটে ২৬ শতাংশ এবং পঞ্চগড়ের ৩৬ শতাংশ খানা জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন ব্যবহার করছে। অন্যদিকে বরিশালের ভোলায় ১৫ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ১৬ শতাংশ এবং বরগুনাতে ৯ শতাংশ মানুষ এ জ্বালানি ব্যবহার করছে।

কেরোসিনের বাড়তি ব্যয় মেটাতে গিয়ে এই গরিব মানুষদের ব্যয় কাটছাঁট করতে হচ্ছে বলে কেরোসিন খাতে ভর্তুকি দিতে সরকারের নীতি সংস্কারের পরামর্শ দেন তাহরিন তাহরিমা।

তিনি বলেন, কেরোসিনের দাম এক টাকা বৃদ্ধি পেলে শিক্ষার্থীদের ৩ মিনিট সময় নষ্ট হয়। দাম দুই টাকা বাড়লে ৬ মিনিট লেখাপড়া সময় নষ্ট হয়।

পেশকৃত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৩ দশকি ৭ শতাংশ বেশি দিয়ে কেরোসিন কিনতে হচ্ছে এই গরিব মানুষদের। সরকার নির্ধারিত দাম জানে না বেশির ভাগ পরিবার। ৮৩ শতাংশ পরিবারের বাজার মূল্যের বিষয়ে সচেতনতা নেই। ৮৭ শতাংশ পরিবার জানেই না কেরোসিনের দাম ৭৩ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।