৮ম শ্রেনীর ছাত্রীসহ ২ কিশোরী ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

নোয়াখালীতে গত ২ দিনে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীসহ ২ কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, সোমবার সোনাইমুড়ীর ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রবিবার বিকেলে সদরের কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে।

সোনাইমুড়ীর নদনা ইউনিয়নের নবগ্রাম নতুন বাড়ীতে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে শণিবার রাতে ২ জনে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছ। পুলিশ এ ঘটনায় আলমগীরকে হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করলেও অপর আসামি রাসেল(৩২)-কে গ্রেফতার করতে পারেনি। তারা ২ জনই বিবাহিত।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে। এর আগে সম্প্রতি সোনাইমুড়ীতে এক গৃহবধূ নানার বাড়ী যাওয়ার পথে গণধর্ষনের স্বীকার হয়। অপরদিকে, নোয়াখালী সদরের কালাদরাপ ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় (১৪) বছরের কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে রবিবার সুধারাম থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত শহিদ (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, সদরের পশ্চিম এওজবালিয়া গ্রামের শফিউল্যার ছেলে শহীদ প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের এক কিশোরীকে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে সুবর্ণচরে ধর্ষণ করে পরে সদর উপজেলার আনন্দ বাজার এলাকায় পুনরায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সুধারাম থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, এ ২টি ঘটনায় ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভিকটিমদের চিকিৎসা চলছে।

নোয়াখালীতে একের পর এক সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে ঊদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা জানান, আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা। পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হচ্ছেনা। তবে এটি চিন্তার বিষয়।

নতুনসময়/আইকে

---