বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
-2024-07-30-11-22-12.jpg) 
                                অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য এবং কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে তাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে ২৮ জুলাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় দুদক। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আদালতে দুদকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে দুদককে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দুদককে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে বলেছেন। ৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
এরমধ্যে ফের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। আর অভিযোগের প্রমাণ মিললে দুদককে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৭(গ) ধারা অনুসারে, কমিশন কোনো অভিযোগে স্ব উদ্যোগে অনুসন্ধান শুরু করতে পারে।
এর আগে, বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে পর পর দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় পত্রিকা। সে সময় অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন। যে কারণে ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
এতে কাজ না হওয়ায় ১৮ এপ্রিল বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ দেন তিনি। নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে স্ব উদ্যোগে অনুসন্ধানের অনুরোধ করা হয়। সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনের তদন্ত ও অনুসন্ধান বিভাগের দুই কমিশনার ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয় রিটে। সেই রিটটি ২৩ এপ্রিল শুনানিতে ওঠে।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে ২২ এপ্রিল তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। ঐ টিম অনুসন্ধান শুরু করেছে।
পরে আদালত রিটে রুল জারি না করে অনুসন্ধান কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন চান। দুই মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২৮ জুলাই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় দুদক। প্রতিবেদনটি সোমবার আদালতে উপস্থাপনের পর শুনানি হয়।

 
                 
                                                    -2019-06-05-12-27-15.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            