ঢাকা সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫, ১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২

হেফাজতের তাণ্ডবে ৩ মামলায়, কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী


৮ এপ্রিল ২০২১ ০৩:১০

ফাইল ছবি

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ভাংচুরের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ সাড়ে ৫শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি এবং স্থানীয় এক সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বুধবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার বিরোধী নানা মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার কারণে ইতিমধ্যে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে র‌্যাব। যেহেতু এখন মামলায় মামুনুল হক হেফাজতের অনেক নেতার নাম আসছে সেহেতু অনেকেই মনে করছেন দ্রুতই তারাও গ্রেফতারের আওতায় আসবে।

সোনারগাঁও থানার ওসি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় হামলা, ভাংচুর, আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ, সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে হেফাজতের কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের দায়ের করা অভিযোগটিও মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তিন মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত মিলিয়ে ৫৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ঘটনায় এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে গত শনিবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাও করা হয়। এরপর হেফাজতের নেতাকর্মীরা রিসোর্টটিতে ভাংচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় মামুনুলের অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা।

এ ঘটনার পর রোববার রাতে জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বদলি ও সোনারগাঁ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়। পরদিন সোমবার রাতে স্থানীয় এক সাংবাদিককে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করে। ঘটনার দিন রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ায় ওই সাংবাদিককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে নির্যাতনের মুখে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে হেফাজত কর্মীরা।

এদিক বুধবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল তারা ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, নেতাকর্মীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন পরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ধর্মের নামে যারা অরাজকতা করে তাদের হাত থেকে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে।

হেফাজত নেতাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও যারা করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।