ঢাকা বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫, ১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২

ফেসবুকে রাস্ট্রবিরোধী স্ট্যাটাসে শিবির ও ছাত্রদলের ৩ নেতার বিরুদ্ধে মামলা


২৮ মার্চ ২০২১ ০৫:৪৩

ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাস্ট্র ও সরকার বিরোধী বিভ্রান্তিকর, গুজব ও মিথ্যা স্টেটাস দেয়ায় শিবির ও ছাত্রদলের ৩ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নরসিংদীর বিজ্ঞ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ মার্চ এ মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল করিম। সি, আর মামলা নং ২৫১/২০২১। বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ১৮ মের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শককে (ওসি, ডিবি) কে নিদেশ দেন।

দঃ বিধির ৪৯৯/৫০৬/৩৪ ধারায় করা মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র শিবির নেতা ও লক্ষীপুর জেলার সদর থানার বাংগাখা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র নওশীন মোস্তারী মিয়া সাহেব (https://www.facebook.com/msaheb.mohon, নিউমেরিক আইডি 100005185124462),
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার গঙ্গানগর গ্রামের মরহুম মোঃ নাছির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রদল নেতা মোঃ কামরুল হাসান রনি (https://www.facebook.com/kamrulhasanrony1994, নিউমেরিক আইডি 100044575573427) এবং
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার হাতীমারা গ্রামের মরহুম মাওলানা জালাল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান (https://www.facebook.com/mohammadmasudul.hasan.5, নিউমেরিক আইডি 100000417258544)।

মামলার বিবরনে বলা হয়, ওই ৩ নেতা ফেসবুক ইউজার আইডি লিংক থেকে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, সচিব, বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র‍্যাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমন করে স্টেটাস দিয়ে আসছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কর্মকান্ডকে কটাক্ষ করে বিভ্রান্তমূলক তথ্য সরবরাহ ও গুজব রটাচ্ছে। এমনকি সেনা, পুলিশ ও র‍্যাব বাহিনীর সন্মান ক্ষুন্ন করার মত বিভ্রান্তমুলক তথ্য প্রদান করে আসছে। তাদের এসব পোস্টের কারণে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং সরকারের প্রতি নেতিবাচক ধারণার প্রভাব পড়ছে।
মামলার সংগে আসামিদের ফেসবুক স্টেটাসের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) সুত্র জানায়, এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার সৃষ্টিকারী এক হাজারেরও বেশি আইডি চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের নাম ঠিকানা এয়ারপোর্টগুলোতে দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পযার্য় ও আদালতের নিদেশ অনুযায়ী এরা দেশ থেকে বিদেশ যেতে গেলে এবং বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হবেন। এরইমধ্যে ৪০ মামলায় অন্তত ৫৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।