ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ নেতা খালেদের আরও ১০ দিনের রিমান্ডে


২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৭

নতুন সময়

যুবলীগ নেতা ও ইয়াংমেন্স ক্লাবের মালিক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় আরও ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খালেদ আলোচিত যুবলীগ নেতা ইমাইল হোসেন সম্রাটের (ক্যাসিনো সম্রাট) শীষ্য হিসেবে পরিচিত। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- খালেদ মাহমুদ নিজ হেফাজতে রেখে অস্ত্র ও মাদক বিক্রি করতেন। ইয়াংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে।

পরে আদালতের নির্দেশে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতেই মামলা দুটির তদন্তভার গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ। রাতেই ডিবি আসামিকে হেফাজতে নেয়। গ্রেফতার দেখানোর শুনানিতে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও প্রচুর টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার করা অস্ত্র, মাদক ও অর্থের উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি।

তার দখলে ও হেফাজত থেকে ইতালির তৈরি একটি কালো রঙের ১২ বোর শটগান, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি, ফ্রান্সের তৈরি ওয়ালথার ব্র্যান্ডের ৭.৬৫ পিস্তল, তিনটি খালি ম্যাগাজিন ও পিস্তলের ৫৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় আসামির নিজ নামে করা পিস্তলের লাইসেন্স দুটি যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা। আর আসামির নামীয় শটগানের লাইসেন্স দুটি যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা।

এ ছাড়া আসামির একই রুমের দক্ষিণ পাশের দেওয়ালের স্টিলের লকার থেকে ৩টি ছোট নীল রঙের পলিব্যাগে ৫৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খালেদের গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় শুরু হয় অভিযান। দুপুর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রাখে র‌্যাবের শতাধিক সদস্য। একই সময় ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এই ক্যাসিনোর সভাপতি খালেদ।

এ সময় ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। সেখানে নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার জব্দ করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা এই দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর তদন্ত ভার পায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতোদিন মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়েই চলছিল তার জিজ্ঞাসাবাদ।  বুধবার মামলা দুটির তদন্ত ভার ডিবির কাছ থেকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মানি লন্ডারিংসহ বাকি দুই মামলায় আসামিকে এখনও গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়নি।

নতুনসময়/এসএম