রাজনীতিবীদরা ইতিহাসবিদ হতে চাচ্ছে : আমীর খসরু

বর্তমান রাজনীতিবীদরা ইতিহাসবিদ হতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (২জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় ভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন,খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কেন রাখা হয়েছে তা সবাই জানে। তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এই কারণে যে তিনি বাহিরে থাকলে দেশের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য কথা বলবে। বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে বুঝতে পেরেছে জনগণের ম্যান্ডেট কি হবে যার কারনে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে এবং জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরো বলেননি , বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা অন্যায়, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের একটি চেষ্টা। এটা সত্য, এটা বিতর্কের কিছু নেই।ঈদের আগে উনাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।আর দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন চুরি করা নির্বাচন। এই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে ঈদের পরে পুনরায় নির্বাচন দিন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করুন। দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই সরকার দেশের জনগণের অধিকার হরণ করার জন্য, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য, চারবার চুরি করেছে। একবার চুরি করেছে জনগণের দল বিএনপি'র নেতা-কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের জেলে ভরে, দ্বিতীয় চুরি করেছে আগের দিন রাত্রে ভোট চুরি করে, আর তৃতীয় চুরি করেছে নির্বাচনের দিন, তৃতীয় চুরির পরে চতুর্থ আরেকটি চুরি করেছে সেটা হল ফলাফলের মাধ্যমে চুরি। তাই এই নির্বাচন বিতরকের ঊর্ধ্বে এ সরকার চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, অনেকেই ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস রচনা করতে চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস রচনা করা যায় না।প্রোপাগান্ডা করে ইতিহাস রচনা করা যায় না। বর্তমান রাজনীতিবিদরা ইতিহাসবিদ হতে চাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা যখন ইতিহাসবিদ হয় তখন সেই ইতিহাস আর ইতিহাস থাকে না। বর্তমানে কিছু রাজনীতিবিদরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস বিকৃত করতে চাচ্ছে এটাকে আমি প্রপাগণ্ডা বলবো এটাকে ইতিহাস বলা যেতে পারে না। আর এ প্রপাগান্ডা কোনদিনও সফল হবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া ,নিজে পরিবার-পরিজন রেখে যুদ্ধ করা, জনগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের একত্রিত করে যুদ্ধ করা। এবং ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের এই অন্ধকার থেকে আলোতে আনার ইতিহাস শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস। এই ইতিহাস কেউ কখনো মুছে যাবার নয় । মুছে ফেলতে পারবে না।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ,শাহ মো: নেসারুল হক, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক মিন্টু, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
নতুনসময়/রাখি/আইকে