ব্যস্ত রাজধানী এখন ফাঁকা হচ্ছে

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতর।স্বজনদের সাথে আনন্দের ঈদ উদযাপনে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই। এর মধ্যে ৩ জুন অফিস থাকলেও অনেকেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন স্ত্রী-সন্তানদের।
বৃহস্পতিবার ৩১ মে ভোর থেকেই অনেকের ঈদ যাত্রা শুরু হলেও আজ শুক্রবার ভোর থেকে রেল স্টেশন,বাস টার্মিনাল ও স্টপেজগুলোতে ভিড় বেড়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে।তবে রাস্তায় এখনো গাড়ির চাপ অনেকটা অন্যদিনের মতই রছেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দুরপাল্লার গাড়ীগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে।
শনিবার ভোর থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মগবাজারসহ বিভিন্ন টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেহেরির পরপরই বাড়ির পানে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন লোকজন। তবে এদের বেশিরভাগই ছাত্র আর পরিবারের সদস্যরা। পরিবার প্রধানরা কিংবা কর্মজীবীরা এখনো রাজধানী ছাড়ছেন না। ৩ জুনের কর্মদিবস শেষ করেই তারা নামবেন বাড়ি ফেরার যুদ্ধে।
ভোরে মানুষের বাড়ি ফেরার যাত্রায় কিছুটা বিপত্তির সৃষ্টি করে হঠাৎ বৃষ্টি। বৃষ্টি বিড়ম্বনায় পড়ে অনেককেই বাসায় ফিরে যেতে দেখা গেছে। কেউ আবার বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়েই গেছেন স্টেশন, টার্মিনালের দিকে।
রাজধানীর মিরপুর ১০’র পপুলার হাসপাতালের সামনে স্ত্রী-সন্তানসহ বাসের অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কবীর হাসান। তিনি নতুনসময়কে বলেন ৩ জুন অফিস ছুটি হবার পর আমি বাড়িতে যাবো। তখন চাপ বেশি থাকবে। তাই আজকেই স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
এদিকে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার বাসগুলো রাজধানীতে যাত্রী নিতে এসেছে। ফলে টার্মিনালগুলোর আশেপাশের এলাকায় যানজট কিছুটা বেশি। কেননা, পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় রাস্তার ওপরেই পার্ক করে রাখা হয়েছে বাসগুলো। সায়েদাবাদ টু যাত্রাবাড়ী পুরো এলাকাই যেন এখন পার্কিংস্পট। আবার মহাখালী টার্মিনালের বাসগুলো তেজগাঁও লিংক রোড থেকে রাস্তার ওপর পার্কিং করা হয়েছে। গাবতলীর আশেপাশের রাস্তার অবস্থাও একই।
রাজধানীর সড়কগুলোতে চিরচেনা দৃশ্যের পরিবর্তন এখনো তেমন একটা আসেনি। তবে ব্যাগ হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়া মানুষদের দৃশ্য বলছে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা।
নতুনসময়/আইকে