ঢাকা শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৫ই আষাঢ় ১৪৩২


আমার বেঁচে থাকাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে: মডেল শ্রাবন্তী


৩০ মে ২০১৯ ২৩:৪২

ফাইল ফটো

গত শনিবার নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে পাঁচতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছে জান্নাতুন নেছা নামের এক কিশোরী। শনিবার রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রসূতিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কোন প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুক গ্রুপগুলো সেই নবজাতকের মায়ের ছবি হিসেবে একটি ছবি ভাইরাল করে দেন। কিন্তু যে ছবিটি ভাইরাল করা হয়েছে সেই ছবিটি ওই প্রসূতির নয়।

উঠতি মডেল শ্রাবন্তি অনন্যার।স্যোশাল মিডিয়ায় শ্রাবন্তীর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার পর থেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে 'শ্রাবন্তি অনন্যা'। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কখনও ছুটে চলছেন প্রসাশনের কাছে কখনও বা গণমাধ্যমে।

এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আজ বৃহস্পতিবার  ডিএমপির সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের কার্যালয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী ফেইসবুক আইডি, গ্রুপ, পেইজ ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মডেল শ্রাবন্ত্রী অনন্যা।


এ বিষয়ে শ্রাবন্তি অনন্যা জানান, আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার আসলে কি বলা উচিত আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না। যেভাবে সমাজে আমাকে ছোট করা হলো সেভাবে কি আমাকে ফের সম্মান ফিরিয়ে দিবে নিউজ পোর্টালগুলো? ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে যেভাবে আমার ছবি শেয়ার করা হয়েছে, এখন আমার বেঁচে থাকাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে।

গত ২৭ মে নিজের ছবি বিকৃত করে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ফেসবুক লাইভে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এই মডেল কন্যা। তবে, এতে তার কোন রক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করে বিচার দাবি করেন। থানা থেকে তাকে সাইবার ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করতে বলে লিখিত অভিযোগ জমা করেন।

শ্রবন্তীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ডিএমপির সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম নিশ্চিত করে ফেসবুক পোষ্টে লেখেন, এই ভিক্টিম আজ আমাদের অফিসে এসে ওই সব মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী ফেইসবুক আইডি, গ্রুপ, পেইজ ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমি আশা করি সবাই সবার ভুল বুঝতে পেরে নতুন করে দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট দিবেন এবং নিউজ পোর্টালগুলো ক্ষমা চেয়ে নতুন নিউজ করবেন। এই ভিক্টিম কে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হ্যারাজ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নতুনসময়/আইকে