ঢাকা শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২


গাবতলী গরুর হাট নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়া‌নোর আহবান


১৩ মে ২০১৯ ০০:১৯

গবাতলী পশুহাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর গাবতলী গরু হাট নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মেয়রের বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন গবাতলী পশুহাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে গবাতলী পশুহাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে গরুর হাটে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে গাবতলী পশুর হাটে চাঁদাবাজিকে দায়ী করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তার এ বক্ত্যের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন গাবতলীর পশুহাট কর্তৃপক্ষ।

বক্তারা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গাবতলী গরুর হাটে চাঁদাবাজির কারণে রাজধানীর বাজারে মাংসের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মেয়রের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃতপক্ষে গাবতলী গরুর হাটে কোন ধরনের চাঁদাবাজি হয়না। এখানে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ফি নেয়া হয়।

বক্তারা আরো বলেন, যদি গাবতলী পশুর হাটে চাঁদাবাজি হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন গাবতলী হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারে। তারা যদি কোন ত্রুটি পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জেল জরিমানা দিতে পারে। আমাদের দাবি অসত্য সংবাদ প্রকাশ না করার। এরফলে হাটের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়।

বক্তারা মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বর্তমান ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত কোরবানি ঈদের পর থেকে সীমান্ত দিয়ে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে সীমান্তরক্ষীদের সাহা্য্যে কিছু গরু অবৈধভাবে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই হিসাবে এক জোড়া গরু পার করতে ৬৫ হাজার টাকা গুনতে হয়। এর পর ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদার টাকা গুনতে হয়। এরপর গরু প্রতি কমপক্ষে ৪ টাকা করে খরচ হচ্ছে। সেই হিসাব ধরে মাংস বিক্রি হয়। যার জন্য মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

গরুর মাংসের দাম কমাতে চাইলে ১৬ টি করিডোর খুলে দিতে হবে। এ সব করিডোর খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন গাবতলী পশু হাটের পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন, আবুল হাসেম, মাংস ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ মুন্সি, গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ীর সভাপতি হাজী মোঃ মজিবর রজমান প্রমুখ।