সুখ্যতি ঐত্যিহ্যের ইফতার "বড় বাপের পোলায় খায়"

ঐতিহ্যে আর পুরাতন সুখ্যাতি বিবেচনায় এবারো রাজধানীর ইফতার বাজারে নিজের নামকে উপরে রেখেছে "বড় বাপের পোলায় খায় ,,"। বরাবরের মত এবারো পুরান ঢাকার চকবাজারে ভোজনরসিকদের মন ভরাতে নানা আইটেমে তৈরী এই ইফতার সামগ্রিটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যাবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা বৈচিত্র্যে ভরপুর ইফতার সামগ্রী থরে থরে সাজিয়ে রাখছেন টেবিলে। বাহারি সেই ইফতার কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো উপচেপড়া।
নানা আইটেমের ইফতার সামগ্রি থাকলেও চকবাজারের আকাশ মুখরিত ছিলো বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়। দোকান ভেদে এই আইটেমটির যেমন ভিন্নতা দেখা গেছে তেমনি দামও। ১২-৩০টি পদের সংমিশ্রনে তৈরী এই ইফতার আইটেমটি ৪০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে।
এই বিষয়ে দোকানী শামসুল আলম বলেন, প্রতি বছরই বড় বাপের পোলা বিক্রি করি। অন্যান্য দোকানের তুলনায় আমার এখানে দাম একটু বেশি। কেননা ২৭ রকমের পদ দিয়ে তৈরি করেছি। কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন তিনি।
চার পুরুষ ধরে চকবাজারে ইফতার বিক্রি করছেন মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন,১২ আইটেম ১২ মসলা মিলে হয় ‘বড় বাপের পোলায় খায়’, কাগজের ঠোঙ্গায়। কেজিপ্রতি এবার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা।
চকবাজারে বাহারি ইফতারের মধ্যে গরুর সুতি কাবাব কেজিপ্রতি ৬০০-৬৫০ টাকা, খাসির সুতি কাবাব ৮০০-৮৫০, সামি কাবাব ৪০-৫০, টিক্কা কাবাব ৩০-৪০, চাপালি কাবাব প্রতি পিস ৫০-৬০, মুরগির রোস্ট প্রতি পিস ১২০-২৫০, আস্ত মুরগি মোসাল্লাম’র পিস ৩৫০-৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
দুধ ও পেস্তা বাদামের শরবত লিটারপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা, লাবাং ২৫০-২৮০, ফালুদা বড় বক্স ১৫০-২০০ টাকা। জিলাপির কেজি ১৫০-২০০ এবং ঘিয়ে ভাজা জিলাপি ৪০০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টানা পরোটা ৩০-৪০ টাকা, খাসির মাংসের কিমা পরোটা ৬০-৭০ টাকা, গরুর মাংসের কিমা পরোটা ৪০-৫০ এবং ৫-১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে বেগুনে, পেঁয়াজু, আলুর চপ, সমুচা।
নতুনসময়/আইএইচ/এসআই