জঙ্গীদের হাতিয়ার হবেন না, গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার

গণমাধ্যমকে জঙ্গীদের হাতিয়ার না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, জঙ্গীরা সবসময় চায় গণমাধ্যম ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিল করতে।
আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ও ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) যৌথ উদ্যোগে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের নিয়ে ‘সন্ত্রাসবাদের ওপর রিপোটিং’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জঙ্গীদের মূল উদ্দেশ্য তাদের আক্রমনের বিভৎসতা প্রচার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।
ক্র্যাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার।
‘সন্ত্রাসবাদের ওপর রিপোটিং’ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম, বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি চ্যানেলের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ। কর্মশালায় ৯৮ জন গণমাধ্যম কর্মী অংশ নেন।
কর্মশালায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন, উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান, মহিবুল ইসলাম, প্রলয় কুমার জোয়ার্দারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বকুল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিন আবদুল বারী উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জঙ্গীবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। অনেক কারণে জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে পশ্চিমা গোষ্ঠীর টানাপোড়েন থেকে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন তৈরি করে সেন্সরশিপ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিরোধ করা ভালো পদ্ধতি নয়। এটি আহম্মকি।
নিউজল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গী হামলার ঘটনা মানবতার জন্য অশনি সঙ্কেত।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ক্রাইম রিপোর্টাররা একে অপরের পরিপূরক। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি পেশাদারিত্ব, দায়িত্ববোধ, আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরির মাধ্যমে কাজ আহবান জানান।
নতুনসময়/আইকে