জামিনে বের হয়ে ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

জামিনে বের হয়ে ফের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে গণধর্ষণ মামলা এক আসামি। কুমিল্লার হোমনায় গত শুক্রবার (৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। রোববার এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

কুমিল্লার হোমনায় গণধর্ষণ মামলার ওই আসামির নাম সুমন সরকার (২৯)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিরুল হক ভূঁইয়া জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবে মানতে পারি না, সুমনকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। স্থানীয় ওসি এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও গণধর্ষণ, মাদকসহ নানা অভিযোগে থানায় আটটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করব।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলা সদরের একটি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত শুক্রবার সকালে বাবার জন্য জমিতে খাবার নিয়ে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের মো. রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে সুমন সরকার তাকে ভংগারচর গ্রামের রজ্জব আলী মাস্টারের কাঠ বাগানের কাছে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। মেয়েটি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় রোববার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করতে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীর পরিবারকে নিয়মিত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, মামলা করার পর থেকে সুমন ও তার লোকজন আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ধর্ষক সুমনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় গত ২০১৭ সালে একটি গণধর্ষণ, ২০১৩, ১৭ ও ১৮ সালে তিনটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সালে তিনটি মারামারির মামলা রয়েছে। সে সম্প্রতি জামিনে এসে গত শুক্রবার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী অবিলম্বে ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার দাবি করেন।

নতুনসময়/আইকে

---