জামায়াতের সাথে জোটে কওমি ঘরানার ৫ দল, শতাধিক আসন ছাড়ের প্রস্তাব
জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের আর্দশিক চেতনায় বিএনপির সাথে র্দীঘদিন ভালো সর্ম্পক বজায় ছিল ইসলামপন্থী দলগুলোর। তবে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সেই সর্ম্পকে ছেদ পড়ে।
পিআরসহ নানা দাবিতে ইসলামপন্থী দলগুলোর আন্দোলনে এই দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়। বিএনপির সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে ধর্মভিত্তিক দলগুলো পরস্পর আরও কাছাকাছি আসে। সম্ভাবনা তৈরি হয় নির্বাচনী জোট গড়ার।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, দেশপ্রেম, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আদর্শিক রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি করে এ ধরনের দলের সাথে আমাদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সমঝোতা হবে। সেক্ষেত্রে জোট কার সাথে হবে বা সমঝোতা কার সাথে হবে এটা সময় আসলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
দেশের কওমি ঘরানার বেশিরভাগ বড় দল দেওবন্দ আর্দশের। যাদের সাথে মওদুদী মতবাদ নিয়ে বহুদিনের বিরোধ জামায়াতের। কিন্তু সেই আকিদাগত দ্বন্ধ সরিয়ে নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে চায় ইসলামীপন্থী পাঁচটি দল। তিনশ আসনের অন্তত একশ আসন চায় ইসলামী আন্দোলন, মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস চায় ৫০টি। বাকি তিন দলের দাবি ৭০ থেকে ৮০টি আসন।
দলগুলোর নেতারা জানান, আকিদাগত দ্বন্দ ভুলে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ার অভিপ্রায় থেকে জোট না গড়ে আসন সমঝোতায় যাচ্ছেন তারা। অবশ্য এমন ঘটনা বিএনপি শিবিরে তেমন উদ্বেগ তৈরি করতে পারেনি।
এই নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে ভোটের তফসিল ঘোষণার পর। এখন চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। শরিকদের কাছে শতাধিক আসন ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
