ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু আজ, মানতে হবে কড়া আচরণবিধি


২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৭

সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু আজ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ থাকবে।

 

আর নির্বাচনের প্রচারের জন্য প্রার্থীদের মানতে হবে কড়া আচরণবিধি। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির নিতীমালা অনুযায়ী, ভোটার ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীরা সাদাকালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করতে পারবেন। সেখানে প্রার্থীদের সাদাকালো ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।

 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত যেকোনো স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছপালা, বিদ্যুৎ বা টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না। দেয়াল বা যানবাহনে কালি, চুন বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে কোনো লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্রাঙ্কন করে প্রচার চালানো যাবে না।

 

কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ ফটক, তোরণ, ঘের নির্মাণ কিংবা ক্যাম্প ও আলোকসজ্জা করতে পারবেন না। তবে অস্থায়ী প্যান্ডেল, শামিয়ানা ও মঞ্চ স্থাপন করা যাবে। কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ ও পরীক্ষার হলের মতো জায়গায় সভা-সমাবেশ বা নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না।

 

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী/পক্ষ আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না, কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন করতে পারবেন না, এমনকি আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা করা কিংবা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন না।

 

কোনো প্রার্থী সভা–সমাবেশ বা শোভাযাত্রা করতে চাইলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। প্রচারে বা ভোটের দিন কোনো পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন করা যাবে না।

 

একজন প্রার্থী বা একটি প্যানেলের পক্ষে প্রতিটি হলে একটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি প্রজেকশন মিটিং করা যাবে। অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো যাবে আইনসিদ্ধ ইতিবাচক পদ্ধতিতে।

 

কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা আইন অনুযায়ী যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।