ঢাকা সোমবার, ৩০শে জুন ২০২৫, ১৬ই আষাঢ় ১৪৩২


ইভিএম কেনায় দুর্নীতি, ইসির ছয় কর্মকর্তাকে দুদকে তলব


২৯ জুন ২০২৫ ২২:১২

সংগৃহীত

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় দুর্নীতি অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশনের ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। টেন্ডার ছাড়াই বাজার দরের ১০গুন বেশি দামে ইভিএম কেনার অভিযোগে তাদেরকে তলব করা হয়। 

 

আগামী ২ জুলাই তাদেরকে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. রাকিবুল হায়াতের চিঠিতে তাদেরকে তলব করা হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

 

ওই ছয় কর্মকর্তা হচ্ছেন- ইভিএম কেনার সময়ে ইসির উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চ.দা) ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার ও সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। 

 

ইসি সূত্র জানিয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা সবাই পদন্নোতি পেয়েছেন। তিনজন কর্মকর্তা বর্তমানে ইসিতে কর্মরত নেই। এছাড়া ইভিএম ক্রয়ের সঙ্গে আরও কয়েকজন সরাসরি যুক্ত ছিলেন। 

 

দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারী আর্থিক বিধি বিধান লংঘন করে সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হয়। টেন্ডার ছাড়া বাজার দরের চেয়ে ১০গুণ বেশী দামে দেড় লাখ নিুমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। ওই বিষয়ে আগামী ২ জুলাই দদকে উপস্থিত হয়ে ওই ছয় কর্মকর্তার বক্তব্য প্রয়োজন। 

 

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়।