এনসিসি গঠনের প্রস্তাব নাহিদের, বিএনপির না

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে মত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আর এনসিসি গঠনের প্রস্তাবে বিএনপি আগের মতোই একমত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক আলাপকালে এসব কথা বলেন।
সাংবোদিকদের কাছে নাহিদ বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল এনসিসি গঠনের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। আমরা মনে করি যারা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তারা মূলত একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামোর মধ্যেই থেকে যেতে চান।
তিনি জানান, এনসিপি শুরু থেকেই এনসিসি গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তবে গঠনের কাঠামো ও প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু গঠনমূলক মতভেদ রয়েছে। বিশেষ করে— রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখার পক্ষে মত দেন তিনি। আবার, এনসিসির অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগের ক্ষমতা না রাখার পক্ষেও তিনি অবস্থান নেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাহী বিভাগের অসম ক্ষমতা হ্রাস করতেই আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। এনসিসি গঠন হবে সেই ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তিনি আরও বলেন, এনসিসি গঠনের বিরোধিতাকারী দলগুলোকে কেবল না বলার চেয়ে বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই কাউন্সিলের জবাবদিহিতা না থাকায় আমরা সমর্থন করব না। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা। এ ফাংশনগুলোকে আলাদা করে যদি আরেকটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়, তাহলে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে।
এছাড়া ভিন্ন এক প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না। বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদেরকে যোগ করা যেতে পারে।