ঢাকা রবিবার, ৬ই জুলাই ২০২৫, ২৩শে আষাঢ় ১৪৩২


মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে ডিসেম্বরে


২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:২০

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রের একটি ইউনিট আগামী ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছেন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে এলে এ তথ্য জানান আবুল কালাম আজাদ।

তিনি জানান, এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬০ দিনের কয়লা মজুত আছে। ফলে, কয়লা সঙ্কট হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, ‘মাতারবাড়িতে চলছে বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ। এ প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দক্ষ করতে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেও বলা হয়েছে।’

বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরও পরিদর্শন করেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। সেখানে তিনি একটি সমন্বয় সভা করেন। এ সময় তিনি জানান, মাতারবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত করা হবে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব। তার সঙ্গে ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরানসহ বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের উপস্থিতিতে এদিন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন থেকে চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং চ্যানেলে যাতায়াতকারী জাহাজের বিভিন্ন মাসুলও আদায় করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ, ২৫০ মিটার প্রস্থ এবং ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার চ্যানেলটি খনন করা হয়েছে।